পরিবার খুশি হলেই কষ্ট সার্থক।
আপনার পরিবারকে খুশি করতেই নবাবী খাবারের শতভাগ স্বাস্থ্যকর এক্সপোর্ট কোয়ালিটির দেশী শুঁটকি পৌঁছে দিন।
আমাদের দেশে সেইসব মাছ-ই বেশীর ভাগ ( প্রায় ৭০%) ক্ষেত্রে শুঁটকি করা হয়, যা কাঁচা বিক্রয় করার অনুপযোগী। অর্থাৎ নৌকা থেকে পাড়ে আনতে আনতে পচে গেছে। আমরা সকলেই জানি, পচা মাছে সাধারণত পোকা ধরে থাকে আগে থেকেই।
এই আধ-পচা মাছ রোদে শুকাতে দিলে এটা শুঁটকি হওয়ার আগেই পোকায় খেয়ে এর মাংসল অংশ আর খুজেই পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ খাওয়ার জন্যে অবশিষ্ট থাকবে শুধু কাঁটা।
এই কারণেই আগে থেকেই DDT এর মতো বিষাক্ত ক্যামিকেল যুক্ত করা হয়। যাতে পোকা শুরুতেই নষ্ট হয় আর শুঁটকির মাংসল অংশ ঠিক থাকে।
লবণ দেওয়ার উদ্দেশ্য ডাবল। লবণ দিলে পোকাও অনেকটা নষ্ট হয় আবার শুঁটকি হওয়ার পর ওজনও বাড়ে। এই কারণেই এই অসৎ কাজটা তারা করে।
যেখানে ১ কেজি শুঁটকি তৈরিতে ৩.৫-৪ কেজি কাঁচা মাছ দরকার সেখানে লবণ দিলে ২ কেজিতেই ১কেজি শুঁটকি হচ্ছে। দাম কিছুটা কমিয়ে সেল করলেও তখন লাভ।
আবার পচা মাছের শুঁটকির পর নিজের ইচ্ছে মতো কম দামেই শুঁটকি সেল করা যায়। কারণ এটা কাঁচা মাছ হিসেবে খাওয়ার অনুপযোগীই ছিল। আসলে শুঁটকি হওয়ার পরেও এটার স্বাদ বাজে।
কিন্তু আমার দেশের ৯৫% মানুষ এই শুঁটকি খায়। আর শুঁটকির আসল স্বাদটাই উপলব্ধি করতে পারেনা।
কম দাম দেখলেই আমাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশের মানুষরা ভাবেন জিতে গেছেন। একটু নরমালি ক্যাল্কুলেট করলেই বুঝা যায় এই দামের রহস্য কি। যেই মাছ কাঁচা থাকতে বাজারে ২৫০-৩৫০ টাকা সেই মাছের শুঁটকি যদি ৮০০-১০০০ টাকায় দেয় সেটাতে বেজাল নিশ্চিত।
এই মাছের শুঁটকি করতেও একটা ভালই খরচ আছে তারপর ঐ জেলের লাভ আছে। ঐ জেলের লাভের পর বিক্রেতার লাভ যোগ করলে তো এতো কম প্রাইজে বিক্রয় প্রায় অসম্ভব।
এই পন্য বিক্রি বেশী হয় বলেই আমাদের দেশের শুঁটকি চাষিরা তাজা মাছের শুঁটকি তৈরিতে আগ্রহ কম দেখান।কারণ তাজা মাছ কাঁচা কিনতেই তাদের অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু সেই পরিমানে মূল্য না পেলে তারা সেটা দেশে সেল না করে বিদেশে রপ্তানি করে দেয়।
অতচ নিজের দেশের পণ্য হয়েও আমরা সেই স্বাদ উপভোগ করতে পারছি না। নবাবী খাবার সেই তাজা মাছের বিশুদ্ধ্ব শুটকিটাই গ্রাহককে উপভোগ করাতে চায়। যারা আমাদের শুঁটকি একবার নিয়েছেন তারা আলহামদুলিল্লাহ্ শুঁটকির প্রেমে পড়েছেন এবং বারবার নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের থেকে।
প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ খাবার মজুদ রাখার অনেক উপায় আবিষ্কার করেছেন। যুদ্ধে খাবার মজুদ রাখার প্রয়োজন হত কিংবা মহামারিতে।
আধুনিক যুগের করোনা মহামারিতেও আমরা সেটা ব্যাপক আকারে দেখেছি।
এতো সব প্রাচীন আবিষ্কারের প্রায় সব আধুনিক মজুদ প্রক্রিয়ার কাছে হেরে গেছে কিন্তু রয়ে গেছে মাছের মজুদ প্রক্রিয়া শুঁটকি তৈরি। কতটা শক্তিশালি হলে এতো হাজার বছর এটা ঠিকে থাকে?
শুঁটকি নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে দেখি, ভাইকিংসরা যুদ্ধে অতিরিক্ত ন্যাচারাল প্রোটিন পেতে মাছকে শুঁটকি বানিয়ে খেতেন।
তারা সারা ইউরোপ, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকায় দীর্ঘদিন রাজত্ব চালিয়েছে বছরের পর বছর। তাদের ইতিহাস পড়বেন দেখবেন শুঁটকির সাথে তাদের প্রোটিন চাহিদা পূরণের কি নিভিড় সম্পর্ক।
কিন্তু আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে শুঁটকির উপর অতিরিক্ত বিজ্ঞান আরোপিত হল।
পচা মাছের শুটকিকে দীর্ঘদিন ভাল রাখতে কিছু অসৎ মানুষ প্রয়োগ করতে লাগলো DDT
এবং তার মতো আরও কিছু বিষাক্ত ক্যামিকেল। যার পুরনরুপ Dichloro Diphenyl Trichloroethane. যা শরীরের জন্যে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
“নবাবী খাবার” গ্রাহকদের শুঁটকির সেই পুরানো বিশুদ্ধ স্বাদটা উপহার দিতে চায়।
যা গ্রাহকের প্রোটিনের চাহিদাও মিটাবে আবার তাজা মাছের শুঁটকির অসাধারণ স্বাদটাও উপভোগ করাবে।
টিবিএস রিপোর্ট অনুসারে আমাদের দেশের শুঁটকির চাহিদার প্রায় ৬৫% শুঁটকি বাইরে থেকে আমদানি হয়।
সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সেই জায়গাতেই পাঠিয়েছেন যেখানের খাবারের সাথে আমাদের জ্বিব্বার স্বাদ নেওয়ার একটা সামঞ্জস্য থাকে।
যেমন অনেক চায়নিজ খাবার তারা মজা করে খেলেও আমাদের খেতে বমি লাগবে। এবং সেটা আমার স্বাস্থ্যের জন্যে ঝুকির কারণ।
আমাদের দেশে যেসব দেশ থেকে শুঁটকি আমদানি হয় তার মধ্যে অন্যতম হল– ভারত, মায়ানমার, শ্রীলঙ্গা ইত্যাদি আরও অনেক দেশ।
আমাদের দেশের সামুদ্রিক মাছে হেভি মেটাল অনুপস্থিত। তাই আমাদের তাজা মাছের ভাল শুঁটকিগুলো ইউরোপে রপ্তানি করতে পারি অনায়াসেই।
কিন্তু ভারতের শুঁটকি ইউরোপ রিজেক্ট করেছে অনেক আগেই। শুধু মাত্র হেভি মেটালের উপস্থিতির কারণে।
অন্যদিকে আমাদের দেশে আমরা সেই শুটকিগুলোই আমদানি করি যা একেবারে কম মুল্যে পাওয়া যায়। অর্থাৎ গুনগত মানের চেয়ে , সস্থায় আকৃষ্ট হন আমদানি কারকরা।
কারণ যেখানে আমাদের দেশের ভাল মাছের শুঁটকিই যেখানে বাজারে গ্রাহক তৈরি করতে পারছে না সেখানে , বিদেশি ভালগুলো আনার প্রশ্নই আসেনা।
স্বাদের এবং মানের দিক থেকে বিচারে দেশী শুঁটকি সবসময় এগিয়ে থাকবে।
আমাদের দেশে তারাও শুঁটকি সেল করে যাদের শুঁটকি নিয়ে ভাল স্টাডি নেই।
পণ্য একটা পেল আর সেল করে দিলো। যেন কাস্টমারকে কোনভাবে গছিয়ে দিতে পারলেই বাঁচে।
এই কারণেই আমাদের দেশে এখনও পাশের দেশ ইন্ডিয়ার মতো ই-কমার্স দাঁড়াচ্ছেই না।
যে জানে না সে আগে নিজেই ঠকে। তার গ্রাহক তো নিশ্চিত ঠকবে।
কলঃ01878-398738
Whatsapp 01811818918
Product | Subtotal |
---|---|
লইট্টা শুঁটকি ( প্রতি ৫০০ গ্রাম) × 1 | ৳ 675.0 |
Subtotal | ৳ 675.0 |
Shipping | ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে: ৳ 70.0 |
Total | ৳ 745.0 |